সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অসময়ে চলে গেলেন কবি নাসের হোসেন

সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

কল্যাণী বইমেলা ২০২০ : আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো 'ছাপাখানার গলি'র বিশেষ সংখ্যা 'শঙ্খ সাহিত্য'।

সংবাদদাতা: অতিমারীর ভয়াবহতার ভিতরেও অক্ষর তার নিজস্ব স্বরে বহমান। কল্যাণী বইমেলা কমিটির উদ্যোগে এবং কল্যাণী নাগরিক কমিটির সহযোগিতায় ৫ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হয়েছে কল্যাণী ২৪ তম বইমেলা। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।  বইমেলা প্রাঙ্গণের মূলমঞ্চে প্রতিদিনের বই-পত্রিকার শুভ মহরত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ ব্যতিক্রমী লিটল ম্যাগাজিন "ছাপাখানার গলি"র ডিসেম্বর ২০২০ সংখ্যাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উন্মোচন করেন বইমেলা কমিটির সাংস্কৃতিক উপসমিতির সম্পাদক মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক পীযুষ পোদ্দার, কবি কাজল গাঙ্গুলি, উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ এবং ছাপাখানার গলির সম্পাদক দেবাশিস সাহা।  আলোচনার কাগজ "ছাপাখানার গলি" এই সংখ্যায় কবি শঙ্খ ঘোষ এর ৪২ টি বিভিন্ন বইয়ের উপর পর্যালোচনা রাখা হয়েছে।  সম্পাদক দেবাশিস সাহা বলেন, এই মুহুর্তে বাংলার বিবেক কবি শঙ্খ ঘোষ। কবি প্রতি মুহুর্তে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিরুদ্ধে, অপশাসনের প্রতিবাদে কলম ধরেছেন। নিজের মেরুদণ্ড কোনো ছাতার নীচে রেখে আসেনি। তাঁর প্রতিটি লেখায় সেই চিহ্ন বিদ্যমান। ছাপাখানার গলি ব্যক্

মান্না দে’র কালজয়ী গান কফি হাউজের অন্যতম চরিত্র ঢাকার মঈদুল এখন গুরুতর অসুস্থ

“কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই,  কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই, আজ আর নেই। নিখিলেশ প্যারিসে মঈদুল  ঢাকাতে নেই তারা আজ কোনো খবরে! মান্না দে’র কালজয়ী গান কফি হাউজের অন্যতম চরিত্র ঢাকার মঈদুল এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। গত ৫ জুলাই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ১৯৩৬ সালের ১৩ই জানুয়ারী পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনায় জন্মগ্রহন করেন কফি হাউজের সেই মঈদুল। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়ার সময়ে বন্ধুত্ব হয় মান্না দে, অমলদের সঙ্গে। ১৯৬৪ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় ঢাকায় চলে আসে তার পরিবার। কাগজের রিপোর্টার মঈদুল, সাংবাদিকতা করেছেন দৈনিক আজাদ, ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, ইনকিলাব, সংবাদ, বাংলার বানী আর দৈনিক পূর্বদেশে। ফুটবল, হকি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও অ্যাথলেটিক্সে ছিলেন সমান উজ্জ্বল। ছিলেন ক্রীড়া ধারাভাষ্যকারও। সিনেমা আর মঞ্চের জগতেও ছিল তার উপস্থিতি। মঈদুলের কফি হাউজের সোনালী বিকেল হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন মঈদুলের বিকেল কাটছে হাসপাতালে।

চলে গেলেন কবি আহমেদ কায়সার

(০১.০৬.১৯৫৭ - ০২.০৪.২০১৯) বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় ছড়াশিল্পী ও গীতিকার আমাদের প্রিয় বন্ধু কবি আহমেদ কায়সার আজ সকাল সাড়ে ১০-টায় আমাদের সবাইকে ছেড়ে উড়োপাখির মত উড়ে গেলেন পারিজাতের বনে, না-ফেরার দেশে। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছড়াগ্রন্থের মধ্যে আছে : ছড়ায় ছড়ায় বঙ্গবন্ধু, মিকি মাউস, টম এন্ড জেরী, পাতার বাঁশী, পান চিবুনী বুড়ি, আমড়া কাঠের ঢেঁকি ইত্যাদি। এছাড়া কিশোর গল্প, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রবন্ধ, সম্পাদনা - সবই আছে তাঁর সৃষ্টির ঝুলিতে। প্রসঙ্গত, কবি মহিউদ্দিন আকবর সম্পাদিত 'সৃষ্টি সুখের উল্লাসে' (কবির ৫১ বছরে পদার্পণে নিবেদিত গ্রন্থ)  একটি মূল্যবান দলিল। ভারতবর্ষেরও বহু কবি-সাহিত্যিক এখানে তাঁকে সুন্দর মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বেঁচে থাকবেন তাঁর কাজের মাঝে। তাঁকে অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই।

কবি সামসুল হক। বিস্মৃতপ্রায় কবির ছড়া গ্রন্থের প্রকাশ।

কবি সামসুল হক এক বিস্মৃতপ্রায় কবি। যোগ্য মর্যাদা ও স্বীকৃতি তাঁকে দেয়নি পাঠকসমাজ। অথচ তাঁর মতো বিশিষ্ট স্বরের কবি জীবনানন্দ পরবর্তী সময়ে বিরল বলা যায়। দীর্ঘ অবহেলার পরত সরিয়ে কবিকে পুনঃ জাগরিত করার প্রয়াস নিয়েছেন আবিষ্কার প্রকাশনী। কবি রফিকুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত হতে চলেছে কবি সামসুল হকের ছড়া সংগ্রহ। প্রকাশকের কথায় এই চেষ্টা আমাদের মতো দুর্বল প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হাতে চাঁদ ধরার সামিল। তবু অজস্র সামসুল ভক্ত মানুষের তীব্র আকাঙ্ক্ষা কে সম্মান দেয়ার তাগিদেই আমাদের অসাধ্য সাধনের চেষ্টা। তাঁর ছড়াসংগ্রহ গ্রন্থটি উন্মোচিত হবে শ্রদ্ধেয় কবি সুব্রত রুদ্র র হাতে আগামী ১৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার, বেলা ৫ টায়। এই অনুষ্ঠানে কবির বিশিষ্ট সহমর্মী প্রবীণ কবি কালীকৃষ্ণ গুহ জানাবেন তাঁদের কবিজীবন। শ্রদ্ধেয় অতিথি, সকলের প্রিয় শিল্পী জগন্নাথ বসু উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা সংস্থা।

অমৃতলোকে চলে গেলেন কবি আল মাহমুদ

পাড়ি দিলেন অমৃতলোকে, কবি আল মাহমুদ। মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (১১ জুলাই ১৯৩৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। যিনি আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখ সমরেও অংশ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী হিসেবে পরিচিত দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৪ সাল অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স থেকে তার কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ূখ ও কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত 'কবিতা' পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তার

নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন মৃণাল সেন।

সত্যজিৎ রায়ের পর আরও একটি নক্ষত্র পতন বাংলা তথা ভারতের চলচ্চিত্র জগতের। সত্যজিতের মৃত্যুর ছাব্বিশ বছর পর চলে গেলেন মৃণাল সেন। তাঁর গুণমুগ্ধ পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বিবিসিকে অবশ্য বলছেন, "মৃণালদা কিন্তু কখনওই দ্বিতীয় সত্যজিৎ ছিলেন না। তিনি ছিলেন তার মতো করেই অনন্য!" তাঁর মৃত্যুতে বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন টুইট করেছেন, 'এক অমায়িক, অনন্য ও সৃষ্টিশীল সিনেমাটিক মনের বিদায়!' মৃণাল সেনের 'ভুবন সোম' ছবিতেই যে তিনি জীবনের প্রথম ভয়েস ওভার করেছিলেন, অমিতাভ বচ্চন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।