সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অসময়ে চলে গেলেন কবি নাসের হোসেন

নাসের হোসেন। কবিতা লিখছেন  'বাংলা সাহিত্য' -এর জন্য। পত্রিকা দপ্তরে। আলী হোসেন, কলকাতা :  আশি দশকের অন্যতম প্রধান কবি নাসের হোসেন। হাজারও কবিতানুরাগীদের বেদনাহত করে চিরবিদায় নিলেন আজ সকালে । তাঁর জন্ম পঞ্চাশ দশকের দ্বিতীয় অর্ধে। কলকাতায়। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে বহরমপুরে। ১৯৭০ সালে সমবর্ত নামে একটি স্থনীয় পত্রিকায় ছাত্রাবস্থায় প্রথম কবিতা বের হয় তাঁর। প্রথম যৌথ চিত্রপ্রদর্শনী হয় ১৯৭৪ কৃষ্ণনাথ কলেজ, বহরমপুরে। কর্মর্সূত্রে কলকাতায় আসেন ১৯৮১ সালে। এখানে আসার পর তাঁর সাহিত্য জীবন আরও গতি পায়। তাঁর প্রকাশিত মোট কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ২১ এবং মোট গ্রন্থের সংখ্যা ২৬। প্রথম একক চিত্রপদর্শনী ১৯৮৪ বিড়লা একাডেমি, কলকাতায়। পত্রিকা সম্পাদনা সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন রৌঁরব (১৯৭৫-২০০৪) পত্রিকায়। এছাড়া কবিতা পাক্ষিকের চার বছর প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এখনও পত্রিকাটি নিয়মিতভাবে প্রতি চৌদ্দদিন পর পর বেরোয়। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এই পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।  'বাংলা সাহিত্য'  অনলাইন ম্যাগাজিনের  কবিতার পাতার  অন্যতম  প্রধান সহযোগী সম্পাদক  ছিলেন এর জন্মলগ্ন থেকেই। এই ম্যাগাজিনের বর্তমান সং

কল্যাণী বইমেলা ২০২০ : আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো 'ছাপাখানার গলি'র বিশেষ সংখ্যা 'শঙ্খ সাহিত্য'।

সংবাদদাতা: অতিমারীর ভয়াবহতার ভিতরেও অক্ষর তার নিজস্ব স্বরে বহমান। কল্যাণী বইমেলা কমিটির উদ্যোগে এবং কল্যাণী নাগরিক কমিটির সহযোগিতায় ৫ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হয়েছে কল্যাণী ২৪ তম বইমেলা। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।  বইমেলা প্রাঙ্গণের মূলমঞ্চে প্রতিদিনের বই-পত্রিকার শুভ মহরত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ ব্যতিক্রমী লিটল ম্যাগাজিন "ছাপাখানার গলি"র ডিসেম্বর ২০২০ সংখ্যাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উন্মোচন করেন বইমেলা কমিটির সাংস্কৃতিক উপসমিতির সম্পাদক মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক পীযুষ পোদ্দার, কবি কাজল গাঙ্গুলি, উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ এবং ছাপাখানার গলির সম্পাদক দেবাশিস সাহা।  আলোচনার কাগজ "ছাপাখানার গলি" এই সংখ্যায় কবি শঙ্খ ঘোষ এর ৪২ টি বিভিন্ন বইয়ের উপর পর্যালোচনা রাখা হয়েছে।  সম্পাদক দেবাশিস সাহা বলেন, এই মুহুর্তে বাংলার বিবেক কবি শঙ্খ ঘোষ। কবি প্রতি মুহুর্তে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিরুদ্ধে, অপশাসনের প্রতিবাদে কলম ধরেছেন। নিজের মেরুদণ্ড কোনো ছাতার নীচে রেখে আসেনি। তাঁর প্রতিটি লেখায় সেই চিহ্ন বিদ্যমান। ছাপাখানার গলি ব্যক্

মান্না দে’র কালজয়ী গান কফি হাউজের অন্যতম চরিত্র ঢাকার মঈদুল এখন গুরুতর অসুস্থ

“কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই,  কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেল গুলো সেই, আজ আর নেই। নিখিলেশ প্যারিসে মঈদুল  ঢাকাতে নেই তারা আজ কোনো খবরে! মান্না দে’র কালজয়ী গান কফি হাউজের অন্যতম চরিত্র ঢাকার মঈদুল এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। গত ৫ জুলাই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ১৯৩৬ সালের ১৩ই জানুয়ারী পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনায় জন্মগ্রহন করেন কফি হাউজের সেই মঈদুল। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়ার সময়ে বন্ধুত্ব হয় মান্না দে, অমলদের সঙ্গে। ১৯৬৪ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় ঢাকায় চলে আসে তার পরিবার। কাগজের রিপোর্টার মঈদুল, সাংবাদিকতা করেছেন দৈনিক আজাদ, ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, ইনকিলাব, সংবাদ, বাংলার বানী আর দৈনিক পূর্বদেশে। ফুটবল, হকি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও অ্যাথলেটিক্সে ছিলেন সমান উজ্জ্বল। ছিলেন ক্রীড়া ধারাভাষ্যকারও। সিনেমা আর মঞ্চের জগতেও ছিল তার উপস্থিতি। মঈদুলের কফি হাউজের সোনালী বিকেল হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন মঈদুলের বিকেল কাটছে হাসপাতালে।